ছোট গল্প (কালো চাদর - ২য় পর্ব)

২য় পর্ব

 মিম তুষার কে বলে,

কিরে তুষার আমরা কি ভাবে রাজবাড়িতে যাব তুই নাকি চিনছ না?হ্যা,, আমি চিনিনা বটে কিন্তু দাদুর কাছ থেকে জেনে নিছি। থাক এই সব তদের ভুতের ভয় আছে কারকার৷ দাদু বলেছে সেখানে নাকি এরকম অনেক ঘটনা আছে৷সিয়াম ত জানি এই সব আবার বেশি ভয় পায়৷মিম বলল,

তুষার চুপ করনা ভয় ত আমিও পাই৷ সিয়াম কিন্তু আসতে চাইছিলো না৷ অনেক কষ্টে আনছি৷ আচ্ছা ঠিক আছে বলমোনা কিছু৷ কিন্ত আমরা যে সেখানে যাচ্ছি আমি কিন্তু বাড়িতে বলিনাই৷ বললে কেহ আমায় দিত না সেখানা যাইতে। আর রাজবাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জন বসতি৷ বাড়িটির চারপাশে এখন জঙ্গল হইয়া গেছে। শুনেছি এর আশেপাশে মানুয় বেশি একটা যায় না৷ খাবারেরও কোনো ব্যবস্তা করা কষ্ট হইয়াপরবে৷ মিম বলে, 

তর খাবার নিয়া চিনতা করতে হবেনা৷ আমার বেগে খাবার আছে৷ আর পুষ্পের কাছেও যথেষ্ট খাবার আছে,।এইদিকে সিয়ামের মা আমাদের জন্য বারানি রান্না করে দিয়ে দিছে। যাই বলিছ রাতের খাবারের জন্য কারো চিন্তা কটতে হবেনা। আমি সেটা ভাবছিনা তুই মিম থাকতে আমি চিন্তা করিনা। কারণ তুই খাবার ছাড়া কোথাও যাছ না।মিম একটু রাগ হয়ে, 

তুষার এটা কিন্তু একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।রকিব বলল,

এবার তরা চুপ করবি খালি৷ পাইচালি বন্ধকরে বল কোথায় যাইতে হবে। শহরের লম্বা রাস্থা শেষ। তুষার বলল, 

সবাই সিটবেল লাগিয়ে নে, গ্রামের রাস্থা গুলো ভালো না। আমাদের আরো পাঁচ ঘন্টা পথ যাইতে হবে। সিয়াম প্রথম থেকেই একটু চুপ করে রয়েছে। মিম সিয়াম কে বলে,কিরে ভিতুর ডিম চুপ করে রইলি কেনো? চুপ করে থাকব না,তদের আমি বলছি যামোনা তার পরেও নিয়া আইছত। কিরে তুষার বাড়িটিতে কি সত্যি ভূত-টুত আছে নাকি৷ থাকতেও পারে দাদুর কাছে যা শুনেছি৷ মিম,তুষার তরা চুপ করবি, আমাকে ঠিক করে গাড়ি চালাতে দে। গ্রামে প্রথম আইছি আমার ড্রাইব অভিজ্ঞতাও প্রথম। আবার তরা সিয়াম কে নিয়ে মজা করতাছত। তরা যানিছ হেয় একটু ভয় পায়৷ 

গ্রাম পেরিয়ে একটা বিশাল জঙ্গল। আর কিছু সময় পর গ্রামের রাস্থা শেষ৷ এই দিকে আকাশের অবস্তাও ভালোনা৷ তুষার রকিবকে গাড়ি থামাতে বলে,রকিব গাড়ি থামায় এবং তুষারকে বলে কেনো গাড়ি থামাতে বললি৷ তুষার বলে অনেকটা পথ আসছি সামনে একটা চা এর টং আছে নেমে চা খেয়ে আসি চল৷ সবাই গাড়ি থেকে নামে কিন্তু পুষ্প নাম্বেনা বলছে৷ রকিব বলল,

তকে প্রথম থেকেই দেখছি চুপ করে আছিছ৷ ড্রাইব করি বলে কিছুই বলতে পারি নাই৷ চল দুস্ত এমন করিছ না সব ঠিক হয়ে যাবে৷

যা না তরা আমার কাছে চা খেতে ভালো লাগছেনা।

ঠিক আছে বলে সবাই চা খেতে চলে যায়৷ সেখানে চা খেতে খেতে চা দোকানিকে তুষার বলে,

আচ্ছা রাজবাড়িটা এখান থেকে কত দূরে?

কেনো বাবা তুমরা কি করবে সেখানে?না মানে সেটা আমাদের পোরনো বাড়ি ছিলো৷ আমার  বড়আব্বু এখান থেকে শহরে চলে যায়৷ তার পর আমার দাদা,বাবা এরা কেহই আসেনাই এখানে,আমি এই প্রথম বার আইছি আমার বন্ধু দের নিয়া৷ দোকানি বলল,

কিন্তু তোমরা যে সেখানে যাইবা জায়গাটাত বেশি ভালো না, তোমাদের সমস্যা হতে পারে৷ রকিব বলল, 

আমাদের কিছুই হবে না৷

 তোমরা যা ভালো মনে করো, আমি আমার কথা বলে দিলাম। যাও সামনের রাস্তা দরে উত্তরের খানিকটা সময় গেলেই ডানে একটা মোর পরবে তার পর দশ মিনিট গেলেই বাড়িটি দেখতে পাবে৷ কিন্তু বেশি সাহস ভালো না বাবা।

তাদের দোকানে যাওয়ার প্রথম থেকেই দুটো লোক তাদের কথা দুলো শুনছে। রকির আর তুষারের মনে, একটু কেমন যানি মনেহচ্ছিলো লোক দুটোকে।লোক দুটোর চেহারা ছিলো  কিছুটা ভয়ঙ্কর কালো৷চোখগুলো তাদের লাল ছিলো যেনো মাত্র গুম থেকে উঠে আসল। 


ছোট গল্প (কালো চাদর - ২য় পর্ব) ছোট গল্প (কালো চাদর - ২য় পর্ব) Reviewed by matir mon on June 14, 2021 Rating: 5

No comments:

ভালোবসার শেষ নিবেদন

  ভালোবসার শেষ নিবেদন আমার আবেগ, অনুভূতি তুই সব কিছুই জানোস, নতুন করে কিছু বলার নাই । একচুয়্যালি, আমি তোর মতো করে কোনো মেয়ের সাথে মিশি নাই ।...

Powered by Blogger.