তোমায় দেখা!
মাটির মন
শিশির ভেজা ঘাসে তোমারই পায়েল পরা চরণ ,
পড়িয়াছে যখন এক শিতল প্রভাতে।
হারিয়াছি মোর শৈশবের অতৃপ্ত সব রং গুলোকে।
ভাসিয়া চলেছি সাদা মেঘের ভেলায়,
অচিন পুরের অচেনা এক রাজ্যর খুঁজে।
অপরুপ তোমারি বদনের প্রাণে চাহিয়া,
ভুলিয়া গিয়াছিলাম প্রাকৃতির রূপে মাখা বাস্তবতা।
আঁখি টানিয়া আনিতে চায় তোমারি, টানাটানা নয়নে,
পলকেই ভুলিয়া গিয়েছিলাম প্রকৃতির সকল মায়।
ক্লান্ত দুপুরে নিরিবিলি মেঠোপথে তোমারি চলন অঙ্গভঙ্গি,
টানিয়া আনে মোর নিষ্পাপ হৃদয়ের বসন্তের সৌরভি
দক্ষিনা মাতালি বাতাসের তীব্র পুষ্প ঘ্রাণ,
উন্মাদ এই প্রাণের স্পন্দন কাঁপিয়া, ব্যাকুল হইবে বলে,
তোমারি বদনে চাহিয়াছি অতি সাধারণ পলকে।
বিকেলের রোদ্র ছায়ার ছোঁয়াখানি,
গোপন করিয়া, ক্রমাগত স্রোতের মত ভাসাইয়াছ,
মোর ভালোবাসার পত্র খানি।
মেলিয়া পড়িবার প্রয়োজন হয় নাই
তোমার কাজল রাঙ্গা হরিণী আঁখির নির্ভাক মায়ায় ।
নিশিতে জ্যোৎস্নায় গড়াগড়ি উঠনে দাঁড়িয়ে,
দেখিয়াছি তোমার যৌবন মহাসঙ্গীতের মূল স্তর খানি,
চন্দ্রকে হার মানাইয়াছ,দিয়ে তোমারি মুচকি হাসি।
শুনিয়াছি তোমার ছন্দে মাখানো,গুন গুন গান গাইতে যখন,
স্তব্ধ হৃদয় দিয়েছি উদাসীন করিয়া, তাহা শুনইবো বলে।
তোমায় দেখা!
এই সৌভাগ্য কামনায়, তৃষ্ণা কখনোই মিটিবে না।

Tumi ta ke?
ReplyDelete